
ব্রুকলীনে সিরাজের জানায় হাজারো মানুষ

বাংলা পত্রিকা রিপোর্ট: বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের স্ক্যাফোল্ড থেকে পড়ে নিহত বাংলাদেশী সিরাজুল হকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ জুন শুক্রবার বাদ জুমা ব্রুকলীনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের এ জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন। জানাজায় অংশগ্রহণকারী কমিউনিটির সচেতন ব্যক্তিবর্গ বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে কর্মক্ষেত্রে নির্মাণকর্মী সিরাজুলের মৃত্যু অনাঙ্খিত দাবি করে, বিল্ডিং ও কনস্ট্রাকশন সংশ্লিষ্ট মালিকদের আরো সচেতন হওয়ার দাবী করেন। এদিকে সিরাজুল হকের মৃত্যু কনস্ট্রাকশন মালিকদের গাফিলতির কারণেই হয়েছে- এমন অভিযোগ করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। দাবি উঠেছে নির্মাণ শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার। অপরদিকে জানাজা শেষে এক বৈঠকে মরহুমের মরদেহ ২৭ জুন মঙ্গলবার বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় কমিউনিটি ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার জুমার আগেই নিহত নির্মাণকর্মী সিরাজুল হকের মরদেহ বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রুকলীনের সর্ববৃবৎ মসজিদ ‘বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার’ প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ দিনের পরিচিত ও প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ। বাদ জুমা হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পূর্বে নিহত সিরাজুল হকে মৃত্যুর পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী বিষয় উপস্থিত সবাকে অবহিত করেন স্থানীয় আঞ্চলিক সমিতির নেতারা।
শুক্রবার ছিল মাহে রমজানের শেষ জুমা। ফলে অতিরিক্ত মুসল্লিদের পাশাপাশি নিউইয়র্কের সিটির বিভিন্ন প্রন্ত থেকে সিরাজুল হকের জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসেন অনেকে। যাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি, সন্দ্বীপ ও কোম্পানীগঞ্জ সোসাইটি’সহ ব্রুকলীনের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা।
এদিকে সিরাজুল হকের জানাজা ঘিরে ও কর্মক্ষেত্রে অনাঙ্খিত মৃত্যুর প্রতিবাদে সেখানে মৌন কর্মসূচি পালিত হয়। সাউথ এশিয়ান মানবাধিকার সংগঠন ড্রামের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি নিয়ে খানিকটা উত্তেজনাকর পরিস্থির অবতরাণা ঘটে। অবশ্য, উপস্থিত স্থানীয় গণমান্য বক্তিরা পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হন। কেবল বাংলাদেশী সিরাজুল হকই নন; কনস্ট্রাকশন মালিকদের গাফিলতির কারণেই এমন অনেকই মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছেন কিংবা পড়ছেন। অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠনেগুলোর। আগামীতে এ ধরণের পরিস্থিতি আর যাতে কাউকে পড়তে না হয় সে বিষয়ে সচতেনা বৃদ্ধি’সহ দাবি উঠেছে নির্মাণ শ্রমিক ও মালিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার।
অপরদিকে যে বিল্ডিং-এ কাজ করতে গিয়ে সিরাজুল হক নিহত হন, সেই প্রজেক্টের মালিক আব্দুল কাদের মিয়া বাংলা পত্রিকার সাথে আলাপকালে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিহতের সকল ক্ষতিপূরণ বহন করবেন। তবে নোয়াখালী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু জানান, জানাজা পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে সিরাজুল হকের মরদেহ দেশে পাঠানো সহ যাবতীয় বৈঠকে বসতে আব্দুল কাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনি সে আমন্ত্রণে সারা দেননি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন ব্রুকলীনের একটি কন্সট্রাকশন কাজে স্ক্যাফোল্ড ভেঙ্গে পড়ে নিহত হন সিরাজুল হক। মরহুমের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানায়। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ফিউনারেল হোমে। এরপর মরহুমের মরদেহ দেশে পাঠাতে নোয়াখালী সোসাইটির অফিসে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্টরা।
এ রকম আরো খবর

জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি’র অমর একুশে পালন
নিউইয়র্ক: প্রতি বছরের মতো এবারও আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর অস্থায়ীবিস্তারিত

বাংলাদেশী ক্যাব চালাকের বদান্যতা ॥ মূল্যবান ডায়মন্ড ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য নজীর স্থাপন
বাংলা পত্রিকা ডেস্ক: হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান ডায়মন্ডের ফিরিয়ে দিয়ে আবারোবিস্তারিত

মুক্তিযোদ্ধা-কবিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মান না জানানো রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি, রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদকসহ দেশেরবিস্তারিত