
বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিক দিদার চৌধুরী
জলবায়ূর পরিবর্তনের ক্ষতি আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরা জরুরী

বাংলা পত্রিকা রিপোর্ট: দিদার চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করছেন। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক দুই মিডিয়াতেই তিনি দাপটের সাথে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতা পেশায় তার শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও পুরাতন সংবাদপত্র দৈনিক সংবাদ-এর মধ্য দিয়ে। সেখানে পাঁচ বছর তারপর দুই বছর বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে কাজ করার পর তিনি যোগ দেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি-তে। দেশের মিডিয়া পাড়ায় তাকে ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবেই বেশি চেনেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। বাংলাদেশের সাংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা পেশা এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বাংলা পত্রিকা তার মুখোমুখি হয়।
প্রশ্ন: দুই মাস হলো আমেরিকায় এসেছেন, কেমন দেখছেন, কোথায় গেলেন?
দিদার চৌধুরী: যুক্তরাষ্ট্রে এসেই আমি নিউইয়র্কের একটি কমিউনিটি টেলিভিশনে ভলেন্টারী হিসাবে কাজ করছি। এ কারণে ইতিমধ্যে এখানকার কমিউনিটি’র সাথে আমার মেশার সুযোগ হয়েছে। আমি বলবো বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ধরে রাখতে খুব ভালো কাজ করছে কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন গুলো। প্রবাসের এতো ব্যস্ততার মাঝে যা হচ্ছে এটা অনেক ভালো।
প্রশ্ন: প্রবাসীদের কোন কোন দিকগুলো ভালো লেগেছে ?
দিদার চৌধুরী: প্রচন্ড ঠান্ডায় এ দেশের মধ্য রাতে একুশে উদযাপন, বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, বাংলাভাষা চর্চায় গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোর কার্যক্রম গর্ব করার মতো।
প্রশ্ন: এবার বাংলাদেশে প্রসঙ্গে আসা যাক,সেখানে সাংবাদিকদের কর্ম পরিবেশ কেমন?
দিদার চৌধুরী: আমি বলবো অবশ্যই ভালো। তবে কিছু কিছু বিটে কিছু সমস্যা তো আছেই। তারপরও যারা মানিয়ে কাজ করছে তারা ভালো করছে।
প্রশ্ন: আপনি ক্রাইম রিপোর্টি ছাড়াও অন্য আর কোন বিষয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন?
দিদার চৌধুরী: পরিবেশ বিষয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয়ার সুযোগ হয় আমার। এরপর ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে একই বিষয়ে সম্মেলনে অংশ নেই। প্রতিটি সম্মেলনে অতি শিল্পায়নের প্রভাবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো প্রচন্ডভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে -ব্যাপারটি আলোচনায় আসে। একজন বাংলাদেশী হিসাবে বিষয়টি আমাকে ভীষণ পীড়া দেয়। এ কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমি এটা তুলে ধরার চেষ্টাও করেছি।
প্রশ্ন: পেশাগত কারণে আর কোথায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে ?
দিদার চৌধুরী: একাধিকবার ফ্রান্স গিয়েছি। তিনবার জার্মানীতে যাই জলবায়ু বিষয়ক গ্লোবাল সম্মেলনে যোগ দিতে। মালয়েশিয়ার বিজনেস কমিউনিটির আমন্ত্রণে দুইবার সেখানে যাওয়া হয়। এ ছাড়া পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিতে ভারত, তুরস্কো ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করি।
প্রশ্ন: কাজের স্বীকৃতি বা মূল্যায়ন হয়েছে কোথাও ?
দিদার চৌধুরী: সাংবাদিকরা সব সময় দায়িত্ববোধ থেকেই কাজ করেন বলে আমি মনে করি। তবে মূল্যায়ন হলে অবশ্যই ভালো লাগে। সেটা বললে তামাক বিরোধী প্রচারণার অংশ হিসাবে তিন পর্বে একটি প্রতিবেদনের জন্য একটি আন্তজার্তিক সংগঠন আমাকে পুরস্কৃত করে। এছাড়া ‘ইন্টারনেটের অপব্যবহার শিশুদের উপর কেমন প্রভাব ফেলতে পারে’ এর উপর প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার ছাড়াও বাংলাদেশে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ অনুসন্ধানের জন্য অন্য আরেকটি পুরস্কার আমি পাই।
আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এ রকম আরো খবর

জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি’র অমর একুশে পালন
নিউইয়র্ক: প্রতি বছরের মতো এবারও আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর অস্থায়ীবিস্তারিত

বাংলাদেশী ক্যাব চালাকের বদান্যতা ॥ মূল্যবান ডায়মন্ড ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য নজীর স্থাপন
বাংলা পত্রিকা ডেস্ক: হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান ডায়মন্ডের ফিরিয়ে দিয়ে আবারোবিস্তারিত

মুক্তিযোদ্ধা-কবিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মান না জানানো রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি, রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদকসহ দেশেরবিস্তারিত