সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্যের বিকাশ চাই

ফরিদুর রেজা সাগর
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪, ২০:০৩
...
দেশে সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্যপাঠের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে...

কয়েক দশক আগে দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক ও বিস্তৃত মূল দায়িত্ব পালন করেছে সংবাদপত্র। আমি যখন পড়তে বা লিখতে শিখিনি তখন থেকেই সংবাদপত্রের সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার বাবা-মা দুজনেই ছিলেন পত্রিকা জগতের মানুষ। দেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসেবে আমার বাবা ফজলুল হকের অবদানের কথা অনেক গুণীজনই বলে থাকেন। বাবা দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়া থেকে ‘সিনেমা’ পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে এর প্রকাশনা ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ছোটবেলায় দেখেছি, আমাদের বাসায় নিয়মিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা রাখা হতো। আমার মনে আছে, মা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন দৈনিক পত্রিকাগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে মায়ের সম্পাদনায় ‘অঙ্গনা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হতো। মাকে প্রায় প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে দৈনিক পত্রিকা পড়তে দেখে এ বিষয়ে আমারও আগ্রহ বাড়ে। আমার মূল আকর্ষণ ছিল দৈনিক পত্রিকার শিশু-কিশোরদের পাতার প্রতি। পড়তে পড়তে কিশোর বয়সে এক সময় আমিও ওইসব পাতায় লেখালেখি শুরু করি। শিশু-কিশোর পাতায় লেখা প্রকাশ হওয়ার পর লেখালেখির বিষয়ে দিনকে দিন আমার আগ্রহ বাড়তেই থাকে।

সেই সময়ে যেসব দৈনিক পত্রিকা বের হতো সেসব পত্রিকায় নানান নামে শিশু-কিশোরদের জন্য সপ্তাহে দুটি আলাদা পাতা বরাদ্দ থাকত। যেমন : ইত্তেফাকে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই-এর কচি-কাঁচার আসর, দৈনিক বাংলায় আফলাতুনের সম্পাদনায় সাত ভাই চম্পা, দৈনিক পূর্বদেশে রফিকুল হক দাদুভাই-এর সম্পাদনায় চাঁদের হাট, দৈনিক সংবাদে বজলুর রহমানের সম্পাদনায় খেলাঘর, আজাদে মুকুলের মাহফিল, বাংলার বাণীতে বিমান ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় শাপলা কুঁড়ি ইত্যাদি।

এ সময় সত্তর দশকের শেষ ভাগে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনও ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য। রঙিন ট্যাবলয়েড সাইজে সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন সান্নাউল্লাহ নূরী, পরবর্তী সময়ে কিশোর বাংলার সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন এস এম পারভেজ, আহমেদ জামান চৌধুরী, রফিকুল হক দাদুভাই। তারও আগে থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত প্রকাশিত হতো ইসলামিক একাডেমির সবুজপাতা, স্কাউট-এর অগ্রদূত, কচি-কাঁচা, খেলাঘর, বাংলা একাডেমির ধান শালিকের দেশে, ডিএফপির নবারুণ, টাপুর টুপুর, বেতার প্রকাশনা দফতরের শাপলা শালুক, শিশু একাডেমির শিশু প্রভৃতি।

কিশোর বয়স থেকে যখন তারুণ্যে আমি তখন একঝাঁক তরুণ লেখকের সঙ্গে আমার পরিচয়- যাদের অনেকে এখন খ্যাতিমান সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পপতি, উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা, চলচ্চিত্রনির্মাতা, অভিনয়শিল্পী, ডাক্তার, ফটোগ্রাফার কিংবা রাজনীতির প্রিয়মুখ। এদের মধ্যে সাইদুল আনাম টুটুল, শাহ আলমগীর, সিরাজুল ইসলাম, ইমদাদুল হক মিলন, আবদুর রহমান, সাইফুল আলম, হাসান হাফিজ, আফজাল হোসেন, লিজি রহমান, ডা. শাহেরা খাতুন বেলা, আলিমুজ্জামান, সেলিনা সিদ্দিকী শুশু, সাবরিনা ইসলাম, আলী ইমাম, অজয় দাশগুপ্ত, এনায়েত রসুল, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, রোকেয়া খাতুন রুবী, খান মোহাম্মদ খালেদ, মোবাশ্বেরা খানম বুশরা, মুনা মালতী, রফী হক, ডা. সারিয়া তাসনিম, সৈয়দ আহমাদ তারেক, ইফতেখারুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন নাগরী, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, তপংকর চক্রবর্তী, পাভেল রহমান, সেলিম নজরুল নুরু, বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানসহ আরও অনেকে। যাদের নাম উল্লেখ করলাম তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রয়াত।

আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের বেশ কয়েকজন উজ্জ্বল মুখ আমাদের শিশুসাহিত্যে আলো ছড়িয়েছে, যারা আমাদের মতোই ওইসব শিশু-কিশোরদের পাতায় লেখালেখি করত। এদের মধ্যে আমীরুল ইসলাম, আসলাম সানী, লুৎফর রহমান রিটন, আহমাদ মাযহার, তারিক সুজাত, আনজীর লিটন, রহীম শাহ, সুজন বড়ুয়া, ফারুক নওয়াজ, ফারুক হোসেন, আবু হাসান শাহরিয়ার, মাহবুবা হক কুমকুম, ধ্রুব এষ, ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।

সত্তর ও আশির দশকে দেশে এখনকার মতো এত বেশি দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল না। তারপরও প্রতিটি পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ জায়গা বরাদ্দ ছিল। ছোটবেলা থেকে লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এখানে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলাসহ বিভিন্ন শিশু সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নাম এবং সে সময়কার কার্যক্রম উল্লেখ করা যায়।

যতদূর জানা যায়, দৈনিক আজাদের পাতায় ‘মুকুলের মাহফিল’-এর জন্ম হয় ১৯৪১ সালে। নামটি দিয়েছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ পাতাটিকে ঘিরেই পরবর্তীতে এর লেখক-পাঠকদের নিয়েই একটি শিশু-কিশোর সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে- যার নাম দেওয়া হয় মুকুল ফৌজ। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে সংগঠনটি ব্যাপক বিস্তৃত হয়। প্রায় ৪০০ শাখায় সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। এ সংগঠনটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে পটুয়া কামরুল হাসানের নাম।

বিজ্ঞানের কল্যাণে নতুন নতুন যত প্ল্যাটফরমই তৈরি হোক না কেন, প্রিন্ট মিডিয়ার বিকল্প আমরা ভাবতে পারি না। প্রিন্ট মিডিয়ায় শিশু-কিশোর সাহিত্যের ধারা সংকুচিত হতে থাকলে তা সমাজে কী প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে...

কবি হাবীবুর রহমানের হাত ধরে দৈনিক সংবাদে ‘খেলাঘর’ নামে শিশু-কিশোরদের একটি পাতা বের হয়। এ পাতার লেখক-পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে পরবর্তীতে খেলাঘর একটি শিশু-কিশোর সংগঠনে রূপ নেয়। বিভিন্ন সময়ে খেলাঘরের নানান চড়াই-উতরাই থাকলেও বজলুর রহমানের হাত ধরে স্বাধীন বাংলাদেশে খেলাঘর নতুন গতি পায়। ১৯৭৩ সালে খেলাঘর আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ সংস্থা সিমিয়ার (CIMEA) সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৯২ সালে খেলাঘর দুই ভাগে বিভক্ত হয়। খেলাঘরের সঙ্গে আজীবন সক্রিয় ছিলেন পান্না কায়সার। ১৯৭৩ সাল থেকে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য। আর ১৯৯০ সালে এ সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন।

স্বাধীনতার আগে বেগম সুফিয়া কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীনের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘কচি-কাঁচার মেলা’ নামে শিশু-কিশোর সংগঠনের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। কচি-কাঁচার মেলার সদস্যদের লেখা নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের পাতায় কচি-কাঁচার আসর নামে শিশু-কিশোরদের জন্য পাতা বের করা হয়। এটির প্রাণপুরুষ ছিলেন রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। প্রাথমিকভাবে কচি-কাঁচার মেলার প্রধান কাজ ছিল ঢাকার তারাবাগের বা বলধা গার্ডেনের সাহিত্য সভাগুলো প্রাণবন্ত রাখা। তা ছাড়া ছবি আঁকা শেখানোর দায়িত্ব ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের। তাই কচি-কাঁচার সদস্যরা অল্প সময়ের মধ্যে লেখা এবং অংকনশিল্পে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সদস্যদের পুরস্কারপ্রাপ্তির সুবাদে কচি-কাঁচার মেলার পরিচিতি ও পরিধি বাড়তে থাকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সারা দেশে কচি-কাঁচার মেলার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। দেশের সর্বত্র গড়ে ওঠে ৫ শতাধিক শাখা। অত্যন্ত সুসংগঠিত ছিল ‘কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা’। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ আমারও হয়েছিল।

১৯৭৪ সালে দৈনিক পূর্বদেশের ছোটদের পাতা ‘চাঁদের হাট’কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয় আরেকটি সংগঠন। পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রফিকুল হক দাদুভাই। খেলাঘর ও কচি-কাঁচার মেলার পাশাপাশি ‘চাঁদের হাট’ হয়ে ওঠে সুবিশাল শিশু-কিশোর সংগঠন। ১৯৭৭ সালে রফিকুল হক দাদুভাই সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিযুক্ত হন। কিশোর বাংলাকে কেন্দ্র করে চাঁদের হাটের কার্যক্রম আরও ছড়িয়ে যেতে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে।

দৈনিক বাংলার বাণীকে কেন্দ্র করে ১৯৭২ সালে ‘শাপলা কুঁড়ি’ গঠিত হয়। রাজনৈতিক অনুকূল পরিবেশে ‘শাপলা কুঁড়ি’র পরিধি একটা সময় যথেষ্ট বিস্তৃতি লাভ করলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শাপলা কুঁড়ির কার্যক্রম স্তিমিত হতে থাকে।

বেতার কিশোর মাসিক শাপলা শালুককে কেন্দ্র করে ১৯৭৪ সালে ফজল-এ-খোদার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আরেকটি সংগঠন ‘শাপলা শালুকের আসর’। মিতাভাই নাম দিয়ে তিনি এটি পরিচালনা করেন।

গত শতকের ষাট এমনকি সত্তরের দশকেও রাজধানী থেকে দূরবর্তী বহু জেলায় দৈনিক পত্রিকা পৌঁছত দুই-তিন দিন পরে। বর্তমানে যোগাযোগব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন, মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি- এসব প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা বাড়লেও সেই তুলনায় শিশু-কিশোর সাহিত্যের ধারা কাক্সিক্ষত মাত্রায় বিকশিত হয়নি। বর্তমানে সংবাদপত্রে ক্রীড়া, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য প্রচুর জায়গা বরাদ্দ থাকলেও শিশু-কিশোর সাহিত্যের জন্য পত্রিকায় তেমন জায়গা বরাদ্দ নেই। তবে সংবাদপত্রের শিশু-কিশোর সাহিত্য পাতার আলাদা একটি আবেদন ও বৈশিষ্ট্য আছে। সময়ের প্রয়োজনে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পাতার বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন এলেও এ পাতাটির সংকোচন নীতি মোটেও সুখকর নয়। কারণ শিশু-কিশোরদের মেধা-মনন বিকশিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফরম তো অবশ্যই দরকার। এ ধরনের আলোচনাও বেশকিছু দিন ধরেই চলমান রয়েছে। তারপরও সংবাদপত্রে শিশু-কিশোর সাহিত্য সংকুচিত হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক।

এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার। এসব উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে শিশু-কিশোরদের জ্ঞান আহরণ ও বিনোদনে বৈচিত্র্য এসেছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে নতুন নতুন যত প্ল্যাটফরমই তৈরি হোক না কেন, প্রিন্ট মিডিয়ার বিকল্প আমরা ভাবতে পারি না। প্রিন্ট মিডিয়ায় শিশু-কিশোর সাহিত্যের ধারা সংকুচিত হতে থাকলে তা সমাজে কী প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

দেশে বর্তমানে যারা প্রতিষ্ঠিত লেখক তাদের অনেকে এক সময় ছিলেন দৈনিক পত্রিকার শিশু-কিশোর পাতার লেখক-পাঠক। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম আমাদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করুক। এর জন্য প্রথমে তাদের যোগ্য হতে হবে। আমরা যদি আমাদের নতুন প্রজন্মকে ঠিক জায়গায় সঠিকরূপে দেখতে চাই তাহলে তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা জানি, সাহিত্যপাঠ শিশু-কিশোদের মানসিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই দেশে সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্যপাঠের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে। তাদের যদি দৃঢ়তার অভাব থাকে, যোগ্যতায় যদি কোনো ঘাটতি থাকে তাহলে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে কি?

বতর্মানে সংবাদপত্রশিল্প এক সংকটময় সময় পার করছে। বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে তথ্য প্রাপ্তি সহজ হওয়ায় পাঠকের আগ্রহে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে আগামীতে হয়তো সংবাদপত্রের অনলাইন ও ডিজিটাল কার্যক্রমে গুরুত্ব বাড়বে, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। প্রকাশের ধরন যেমনই হোক, সংবাদপত্রশিল্পে শিশু-কিশোরদের উপযোগী লেখা ও কনটেন্টের মাত্রা এবং সংখ্যা কাক্সিক্ষত মাত্রায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

সর্বশেষ